• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

বাংলা ক্লাস- ১ (বাক্য শুদ্ধিকরণ)

বাংলা মাতৃভাষা হলেও, সঠিক চর্চার অভাবে আমাদের বাংলা বাক্য বলা ও লেখার ক্ষেত্রে ভুলের অন্ত নেই। আসুন, একটু সময় হাতে নিয়ে অনুশীলন করি। সকল আগ্রহী পাঠককে অগ্রিম ধন্যবাদ। 

আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে 'অশুদ্ধ' অংশটুকু লাল রঙের ও আন্ডারলাইন করে দেয়া হলো। 



বাংলা ক্লাস- ১ 


এখান থেকে শুরু:- 


অশুদ্ধবাক্য   : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠতম/ তর
শুদ্ধবাক্য     : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য   : আপনি সদাসর্বদা জনগণের মঙ্গল চেয়েছেন।
শুদ্ধবাক্য     : আপনি সর্বদা/ সব সময় জনগণের মঙ্গল চেয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য   : শুনেছি আপনি স্বস্ত্রীক ঢাকায় থাকেন।
শুদ্ধবাক্য     : শুনেছি আপনি সস্ত্রীক/স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন।

অশুদ্ধবাক্য   : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষী দেননি।
শুদ্ধবাক্য     : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেননি।

অশুদ্ধবাক্য   : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিলেন।
শুদ্ধবাক্য     : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেল হয়েছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য   : বাসের ধাক্কায় তিনি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
শুদ্ধবাক্য     : বাসের ধাক্কায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য   : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্রি পরিশ্রম করেছেন।
শুদ্ধবাক্য     : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্র/ দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।

অশুদ্ধবাক্য   : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।
শুদ্ধবাক্য     : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষ সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

অশুদ্ধবাক্য   : বেশি চাতুর্যতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।
শুদ্ধবাক্য     : বেশি চাতুর্য/ চতুরতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

অশুদ্ধবাক্য   : তার কথার মাধুর্যতা নাই।
শুদ্ধবাক্য     : তার কথার মাধুর্য বা মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য   : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলছে।
শুদ্ধবাক্য     : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।

অশুদ্ধবাক্য   : অন্য কোন উপায়ন্ত না দেখে তাঁরা গুলি ছুড়তে লাগল।
শুদ্ধবাক্য     : অন্য কোন উপায় না দেখে তাঁরা গুলি ছুড়তে লাগল।

অশুদ্ধবাক্য   : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ
শুদ্ধবাক্য     : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয়/ (অথবা, আইনত অপরাধ)।

অশুদ্ধবাক্য   : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যতার কমতি নাই।
শুদ্ধবাক্য     : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যের কমতি নাই।

অশুদ্ধবাক্য   : আগুনের দ্বারা নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।
শুদ্ধবাক্য     : আগুনে নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।


সচেতনভাবেই হোক আর অবচেতনভাবেই হোক অনেক লেখক/ কবি/ সাধারণ মানুষ একটি বাক্যে দুবার বা তিনবার বহুচিহ্ন ব্যবহার করে বাক্যের গুণ নষ্ট করে। যেমন: গ্রামগুলো সব, লক্ষ লক্ষ শিশুগুলো সব, সব রাজাকারদের, সকল যুদ্ধাপরাধীদের ইত্যাদি। ‘কিছু’ ব্যবহার হলে পরে বহুবচন হয় না। যেমন:- 'কিছু লোকদের' না হয়ে হবে 'কিছু লোক'। বচন ঘাটতি বা বাহুল্যের কারণেও বচন ভুল হতে পারে। যেমন:-

অশুদ্ধবাক্য   : সকল/ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেছে জনতা।
শুদ্ধবাক্য          : সকল/ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি করেছে জনতা।

অশুদ্ধবাক্য   : এবারও সদরপুর সরকারি কলেজের সব ছাত্ররা খারাপ রেজাল্ট করেছে।
শুদ্ধবাক্য     : এবারও সদরপুর সরকারি কলেজের সব ছাত্র/ (অথবা, ছাত্ররা) খারাপ রেজাল্ট করেছে।

অশুদ্ধবাক্য   : লক্ষ লক্ষ জনতারা সব সভায় উপস্থিত হয়েছিল।
শুদ্ধবাক্য     : লক্ষ লক্ষ জনতা সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

অশুদ্ধবাক্য   : সব পাখিরা ঘর বাঁধে না।
শুদ্ধবাক্য     : সব পাখি ঘর বাঁধে না।

অশুদ্ধবাক্য   : যেসব ছাত্রদের নিয়ে কথা তারা বখাটে।
শুদ্ধবাক্য     : যেসব ছাত্রকে নিয়ে কথা তারা বখাটে।

অশুদ্ধবাক্য   : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তার মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।
শুদ্ধবাক্য     : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তাদের মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।

অশুদ্ধবাক্য   : কিছু কিছু মানুষ আছে যে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।
শুদ্ধবাক্য     : কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

অশুদ্ধবাক্য   : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শুদ্ধবাক্য     : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য   : এটি সার্বজনীন ব্যাপার।
শুদ্ধবাক্য     : এটি সর্বজনীন ব্যাপার।

অশুদ্ধবাক্য   : রহিমসহ অরো অনেকেই আছেন এই নাটকে।
শুদ্ধবাক্য     : রহিমসহ অনেকেই আছেন এই নাটকে।

(চলবে......) 



কবি ও কথাশিল্পী 


প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, সদরপুর সরকারি কলেজ , ফরিদপুর 

তথ্যসূত্র
ইন্টারনেট (গুগল, উইকিপিডিয়া, অনলাইনে প্রকাশিত বাংলা ব্যাকরণ ও অভিধান)  
Share:

জল ছিল ( এক করুণ কাহিনি)



কী ছিল না আমেনার!

হয় তো বিলাসী জীবন ছিল না ওর। কিন্তু, মনে বড় সুখ ছিল। চোখে জল ছিল না সত্যি। একটি মাত্র ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ভীষণ সুখী ছিল সে।



ওর স্বামী একাব্বর অন্যের জমিতে কিষাণি দিত। বাড়িতে গরু ছিল, ছাগল ছিল, হাঁস ছিল, মুরগি ছিল। বাড়ির সামনের ছোট্ট পুকুরটাতে মাছও ছিল। এই তো দূরে দেখা যাওয়া বহতা যমুনার মতো জীবনটাও ওদের বয়ে যাচ্ছিল ছলাৎ ছলাৎ করে।


অশিক্ষিত ওরা।

দেশের কিংবা বিদেশের খোঁজ ওরা রাখে না। রাখবার সময়ও ওদের নেই। কিন্তু, একাব্বর কার কাছে যেন শুনে এসেছে- উজান থেকে পানি আসছে। যে পানির জন্য শুকনো মৌসুমে একাব্বরের মতো কৃষকেরা চাতকের মতো থেকেছে অপেক্ষায়, সেই পানি আসবে শুনে- কেমন জানি শরীরটা শীতল হয়ে আসে। ভয় ধরে যায়!

ওদের বাড়ি যমুনার কাছাকাছি এক চরে।  যমুনার ভাঙনের শিকার হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল এখানে। ওদের মতো আরও অনেকেই। দেখতে দেখতে একটা সমাজ গড়ে ওঠেছে। কে বলবে- বছর দশেক আগে এখানে জনমানবের কোনো চিহ্ন ছিল না।

সেদিন রাতে আমেনাকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছিল একাব্বর, “এইবার মাঠের সব ধান ভাইসা গেছে। মনে অইতাছে- ঘরবাড়ি সব ভাসাইয়া নিয়া যাইব। পানির বাড় খুব বেশি।“


কয়েকদিনের মধ্যে পানি উঠোনে চলে আসে। গরু-ছাগলের দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না আর। হাস-মুরগি ঘরের এক কোণে আশ্রয় পায়। আজিমুদ্দিনের নৌকায় বাজারে নিয়ে গিয়ে পালের দুটি গরু, একটি বাছুর, আর চারটি ছাগল পানির দামে বেঁচে দিয়ে আসে। অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়।

এইসব চরাঞ্চল যেন দেশের ভেতরে আরেক খন্ড দেশ। এখানে বিদ্যুত আসেনি। ফেসবুক নেই। কোনো পেপার আসে না। এই যে এত কিছু ঘটে চলেছে, কোনো সাংবাদিক এ এলাকায় আসেনি। ত্রানের লোকজনকেও দেখা যায়নি এ এলাকাটায়। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা যেন ওরা।

  
ধীরে ধীরে খালি হয়ে আসছে পুরো চরাঞ্চল। যে যেখানে পারছে চলে যাচ্ছে। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে আমেনাদের। আজকে সকালে খবর পেয়েছে- মজনু শেখের পালের তিনটে গাভী বানের জলে ভেসে গেছে। বেচার সুযোগ পায়নি সে। জমির ব্যাপারীদের নৌকাটা ডুবে গিয়ে মারা গেছে পাঁচজন। জমির ব্যাপারীও বেঁচে নেই আর। আহ, কী নির্মম জীবন! কী রুঢ় বাস্তবতা!

চারদিকে কেমন জানি হাহাকার। চাপা কান্নার ধ্বনি পানির স্রোতের মাঝে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। পুরো সমাজটা কেমন জানি নিরব। নিস্তব্দ। কোনো মানুষ আর নেই যেন!
চৌকিতেই মাটির চুলায় রান্না হচ্ছে ওদের। একাব্বর বলে, “আমেনা, আইজকের মইধ্যেই আমাগো চইলা যাইতে অইব। আর থাকন যাইবো না। রাইতের মইধ্যে পানি বিছানায় উঠবো।"

কিন্তু, কোথায় যাবে ওরা?
বিশাল এই পৃথিবীতে ওদের থাকার জায়গা কি আছে?

ওরা ভাবে- অন্যের বাড়িতে কৃষাণি দিয়ে, প্রয়োজনে ভিক্ষা করে চলবে- তবুও বাঁচতে হবে,  একমাত্র ছেলেটাকে বাঁচাতে হবে। জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া যাবে না।

পানির স্রোতের গতি অস্বাভাবিক। শো শো শব্দ। সাগরের গর্জন ওরা শোনেনি। দেখেওনি। তবে কেন জানি মনে হয়, সাগরের গর্জনও এতটা ভয়ংকর নয়।

পাঁচ বছরের ছেলে লাল চাঁন। ভয়ভীতি ওর নেই। এই যে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে গেছে, হাতটা নামিয়ে দিলে পানি ছোঁয়া যায়, এটা ভয় নয়, ওর মধ্যে এক অপার্থিব ভালোলাগা তৈরি করেছে। আমেনার সদা সতর্ক দৃষ্টি ছেলেটার দিকে। এই তো গত সোমবার জমিলার তিন বছরের মেয়েটা মারা গেল। পরীর মতো দেখতে ছিল!

একাব্বর নৌকা আনতে গেছে ঘন্টা তিনেক হলো। ফেরার অপেক্ষায় বসে আছে আমেনা। এত দেরি হচ্ছে কেন তাঁর?

ঘরের চৌকাঠের সাথে একটা কলা গাছের ভেলা বেঁধে রেখেছে ওরা। লাল চাঁনকে সাথে নিয়ে ভেলায় গিয়ে ওঠে আমেনা। যেদিকে দুচোখ যায়, যতদূর চোখ যায়- থৈ থৈ জল। এ জলের যেন কিনারা নেই। আদিঅন্তহীন। একাব্বরকে কোথাও দেখা যায় না। চোখ জোড়া ঝাপসা হয়ে আসে আমেনার।

হঠাৎ ‘টুপ’ করে একটা শব্দ হয়। লাল চাঁনকে ভেলায় দেখা যাচ্ছে না আর। ‘লাল চাঁন’ বলে জোরে চিৎকার করে ওঠে আমেনা। লাফিয়ে পড়ে পানিতে। 

শো শো শব্দ করা স্রোতের মাঝে একা একটা রমনী ‘লাল চাঁন’ ‘লাল চাঁন’ বলে চিৎকার করতে করতে ভেসে যেতে থাকে...


হায় আল্লাহ, আমেনার দুচোখে এত জল ছিল!





সদরপুর, ফরিদপুর  


কবি ও কথাশিল্পী

Share:

স্বপ্ন ছিল



স্বপ্ন ছিলো-
কবি হবো
সকাল বেলার
রবি হবো
তোমার মনের
ছবি হবো।



স্বপ্ন ছিলো-
সাগর হবার
তোমার দেখার
আকাশ হবার 
তোমার হাতে 
হাতটা রাখার।


স্বপ্ন ছিলো-
আসবো উড়ে
তোমার মনের
গহীন পুরে
থাকবো তোমার
হৃদয় জুড়ে।

স্বপ্ন ছিলো-
তোমার হবো
সকাল বিকাল
কথা কবো
গাছের ছায়ায়
রাত কাটাবো।







স্বপ্ন আমার
মিথ্যা সবই
হলাম শেষে
আতেল কবি
কষ্টে আছি
ভীষণ খুবই।


কবিতাটা পরপর তিনবার পড়লো বৃষ্টি। পড়েই একই সাথে মুগ্ধ ও বিস্মিত হলো ও। এতো সুন্দর ছন্দোবদ্ধ কবিতা লেখার প্রতিভা আছে দিবসের এটা জানা ছিলো না বৃষ্টির।

তাড়াতাড়ি ফোন দিলো ও-

- হ্যালো দিবু, তুমি কবি হইলা কবে থেকে?
- এই সুন্দরবন, এই সুন্দর জল
মোরে আনিয়া দিয়াছে ছন্দ
আজি হতে আমি হয়ে যাবো তাঁর
স্বপ্নের জীবনানন্দ।
- কার জীবনানন্দ হবা?
- সেটা তো সিক্রেট। বলা যাবে না। হা হা হা।
- কিন্তু, তুমি নিজেকে আতেল কবি বললা কেনো?
- কবিরা আতেলই হয়। পরে কথা বলি।
- এতোটুকু বলেই লাইনটা কেটে দিলো দিবস।

অন্যপাশে কানে ফোনটা লেগেই থাকলো বৃষ্টির।


(চলবে.....)


ফ্যান্টাসি-২
(ফ্যান্টাসি সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস আসছে শীঘ্রই)



Wadud Khan
Sadarpur, Faridpur

Share:

অধঃপতিত ছেলের কাছে এক গ্রাম্য চাষাভুষা বাবার কাব্যিক চিঠি



ব্যাটা, যাহা শুনলাম তাহা কি ঠিক?

লেখাপড়া শিকেয় তুলে ঘুরছো দিক বিদিক।

ঢং ফং মেয়েদের পিছে নাকি ছুটছো?
বিড়ি টিড়ি খেয়ে চাপা নাকি ভাঙছো?
প্রেম ট্রেম করে নাকি খাচ্ছো ছ্যাকা ট্যাকা?
জলে নাকি ঢালছো আমার কষ্টের টাকা?
গরীবের ছাওয়াল হয়েও একি তোমার কাম?
তোমার মতো বাছুরের জন্যে ফেলে যাচ্ছি ঘাম।

ব্যাটা, যাহা শুনলাম আসলে কি তাহা ঠিক?
মোবাইলে পঞ্চাশ টাকা ভরছো নাকি দৈনিক?
বইয়ের বদলে নাকি পড়ে থাকো ফেসবুকে?
খবর শুনে মরছি আমি দেয়ালে মাথা ঠুকে।
এক মাইয়ার লগে নাকি রোজ করছো ডেটিং?
বাছুর থেকে হচ্ছো আবাল মাথায় গজাইছে শিং।
কলেজের বদলে নাকি উদ্যানে থাকো পড়ে?
আলেয়াকে আলো ভেবে মরছো ঘুরে ঘুরে।

ব্যাটা, যাহা বললাম তার সব যদি ঠিক হয়।
বুঝলাম তবে তোমার হয়েছে অবক্ষয়।
সাধের এ যৌবন তোমার থাকবে না বেশিদিন।
আজকের এই নিষিদ্ধ শান্তির জন্যে
সামনে কাদবা নিশিদিন।

গ্রাম্য চাষী

লেখা: ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর

Share:

নই তো কবি



নই তো লেখক, তাই বলে কি মনের কথা লিখবো না?

আমার মনের দহন ব্যথা ইচ্ছে মতো আঁকবো না?



নই তো কবি, তাই বলে কি
আসবে না মোর ছন্দ?
সরবে না কি তৈরি হওয়া
মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব?



নই তো ধনী, তাই বলে কি
স্বপ্ন আমার থাকবে না?
জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি
পাবো কেবল সান্ত্বনা?



আতেল আমি, তবুও লিখি বেতাল মনের কবিতা। নিজের সাধে নিজেই উড়িভাবুক লোকে যা খুশি তা।




ওয়াদুদ খান
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
সদরপুর, ফরিদপুর
Share:

Popular Posts

Recent Posts