আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে ভারতের মেওয়াত অঞ্চলে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলবী (রহ.) এই মেহনত শুরু করেন। মাদরাসা ও খানকাহ কেন্দ্রিক ধর্ম চর্চার বলয় থেকে বের হয়ে তিনি এক নবজাগরণ সৃষ্টি করেন। আম জনতা তার মেহনতের সাথে শরীক হতে থাকেন এবং নিজেকে বদলাতে থাকেন আমূল।
বিশ্ব তাবলীগের মূল মারকাজ হচ্ছে দিল্লীর নিজামুদ্দীনে। পরবর্তীকালে হাক্কানী ওলামায়ে কেরাম, বুজুর্গানে দ্বীন এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন তাবলীগ ও দাওয়াহ- একটি হক মেহনত। এবং এ মেহনতের সাথে জুড়লে বদলে যেতে পারে যে কারও জীবন। পাঁচও মহাদেশে এই মেহনত এখন ছড়িয়ে পড়েছে। বদলে গেছে লাখো জীবন।
মাওলানা সাদ কান্ধলবী (মা. আ.) |
ওলামায়ে দেওবন্ধের আনীত অভিযোগকে স্বীকার এবং ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন মাওলানা সাদ। নবী-রসূল বাদে কেউই ভুলের উর্ধে নয়। ভুল সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।
১৩ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম ওলামায়ে দেওবন্দ ও মাওলানা সাদের মাঝে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।
তবুও এদেশের কিছু ওলামা-মাশায়েখ মাওলানা সাদকে টঙ্গীতে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় শরীক হতে না দিয়ে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ, তাবলীগ-অন্তপ্রাণ সাথীদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছেন।
যে খানদান বিশ্ব দরবারে তাবলীগের অমিয় বাণী পৌঁছে দিয়েছেন, এখনও দিচ্ছেন, সেই খানদানের অনুপস্থিতি ইজতেমার সৌন্দর্যকে অনেকটা মলিন করেছে।
এদেশের সমস্ত ইসলামী পন্ডিত ও বুজুর্গানে দ্বীনের কাছে এই অধম, গুনাহগার, খাকছার ব্যক্তিটির বিনীত প্রার্থনা- আপনারা মাওলানা সাদ কান্দলবী (মা.আ.)কে নিয়ে এই ধ্বংসাত্মক খেলা বন্ধ করুন। তাবলীগকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।
তাবলীগ বিতর্কিত, ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা বন্ধ হয়ে গেলে পুরো মুসলিম উম্মাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(উপরিউক্ত লেখা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত)
ওয়াদুদ খান
১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
সদরপুর, ফরিদপুর