• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

একালের সেকেলে শিক্ষক : প্রতি পদে বঞ্চনা | ওয়াদুদ খান




সম্প্রতি (০৪ জুন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে "সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮" শিরোনামে একটি সময়োপযোগী নীতিমালা জারি করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা (বর্তমানে 'কর্মকর্তা' শব্দটি আর ব্যবহার করা হচ্ছে না। একারণে কর্মকর্তার স্থলে ইচ্ছে করেই 'কর্মচারী' লেখা হয়েছে।) এতে খুশি হয়েছেন। কেননা, গ্রেড-১ থেকে শুরু করে গ্রেড-৯ পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীরারা মাসিক "মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা" পাবেন। এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের প্রধানগণ। সবই শুভ উদ্যোগ। সরকার নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
বরাবরের মতো এই নীতিমালাতেও উপেক্ষিত থেকে গেছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মচারীবৃন্দ। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ  ও অধ্যাপক ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের আর কোনো কর্মচারী এই সুবিধা পাবেন না। কারণ, তাঁরা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নন। অথচ, অন্যান্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাচ্ছেন গ্রেড-৭ থেকে গ্রেড-৯ এর কর্মচারীগণ। যেমন: উপজেলা পর্যায়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই সুবিধা পাচ্ছেন, কেননা তাঁর একটি অফিস রয়েছে যদিও তাঁর বেতন গ্রেড-৯।
যেহেতু ক্যাডার শিক্ষক কর্মচারীদের নিজস্ব কোনো অফিস নেই, তাই তাঁরা গ্রেড-৫ কিংবা গ্রেড-৬ এর কর্মচারী হয়েও "মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা" প্রাপ্য হবেন  না। একটি সরকারি কলেজে ২০০জন শিক্ষক কর্মচারী (ক্যাডার শিক্ষক) কর্মরত থাকলেও অফিস পরিচালনা করে থাকেন মাত্র দুজন- অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ। কাজেই এই দুজন কর্মচারী ও পদমর্যাদার কারণে অধ্যাপকদের উপরিউক্ত সুবিধা প্রদানই কর্তৃপক্ষের নিকট যথেষ্ট মনে হয়েছে।
শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে পাঠদানে দক্ষ করার মানসে সরকার আইসিটি কোর্সের পেছনে  ইতোমধ্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। অথচ, শিক্ষকদের একটি করে আধুনিক ল্যাপটপ কিনে দিতে পারেনি। শিক্ষকদের ল্যাপটপ নেই, ট্যাবলেট পিসি নেই, এমনকি অনেকের মোডেম কিংবা স্মার্ট ফোনও নেই। অথচ, কোনও কোনও শিক্ষক তিন-চারবার আইসিটি ট্রেনিং সম্পন্ন করে ফেলেছেন।
শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে পাঠদানে দক্ষ করার অভিপ্রায়ে প্রায়শ বলা হয়ে থাকে, "একজন শিক্ষক হবেন পুরোপুরি ডিজিটাল। তিনি গুগলে সার্চ দিয়ে বের করে আনবেন হালনাগাদ কিন্তু সঠিক ও নির্ভুল সকল তথ্য। তিনি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ডাউনলোড করে নিবেন তার প্রয়োজনীয় ভিডিও ম্যাটেরিয়ালস। ভিডিও এডিটিং, কাটিং, পেস্টিং খুব সুন্দর করে শিখে নিবেন। একজন শিক্ষক মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টে হবেন সুদক্ষ। ক্লাসরুমে বড়ো মনিটরে ক্লাস নিতে পারঙ্গম হবেন একজন শিক্ষক কর্মচারী।"
আইসিটি ট্রেনিংয়ের কল্যাণে অনেক শিক্ষক যুগোপযোগী ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে ইতোমধ্যে সাড়াও ফেলেছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো- সরকার শিক্ষকদের "মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা" থেকে উপরিউক্ত নীতিমালায় বঞ্চিত করেছে।
আমরা যদি একটু গভীরভাবে অনুধাবন করি, তাহলে দেখতে পাবো- থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চেয়ে একজন শিক্ষকের মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার কম প্রয়োজনীয় নয়। একজন শিক্ষককে যোগাযোগ রক্ষা করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে।
একজন শিক্ষক কেন নিজ পকেটের টাকা খরচ করে গুগলে ঢুকবেন, ইউটিউবে সাঁতরাবেন, রাত জেগে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করবেন, যেখানে সেই শিক্ষকটিকে দেয়া হয়নি একটি ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কিংবা কম্পিউটার? আবার শিক্ষকদের বাড়তি উৎসাহ দেওয়ার জন্য দেয়া হচ্ছে না "মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা"।
শিক্ষকদের কর্ম পরিবেশের বৈশিষ্ট্যই এমন যে, সবাই একই সাথে অফিস প্রধান হবেন না। সবার অফিস থাকা জরুরিও নয়। এর মানে নয় যে তাঁদের মোবাইল ও ইন্টারনেট চালানোর প্রয়োজন নেই।
আশাকরি, আমার লেখাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে এবং তাঁরা দ্রুততম সময়ে নীতিমালাটির সংশোধনী এনে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের "মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা" প্রদান করা হবে।
ভুলে গেলে চলবে না, এটি শিক্ষকদের প্রতি কোনো দয়া নয়; বরং তাঁদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার।
আর কতকাল হাজারো বঞ্চনার শিকার একালের শিক্ষকরা থেকে যাবেন সেকেলে?

ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর 

Share:

আ প্যারাগ্রাফ অন "রোড এক্সিডেন্ট" | ওয়াদুদ খান

সড়ক দুর্ঘটার ছবি

Road Accidents


At present  (বর্তমানে), road accidents have become regular incidents (দৈনন্দিন ঘটনা) in all over the world (সারা পৃথিবীতে), especially (বিশেষ করে) in Bangladesh. It is increasing day by day  (দিনে দিনে বাড়ছে). Thousands of people are dying every year due to road accident (সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে). Most of the road accidents take place (ঘটে) in the urban areas  ( শহর এলাকায়) and in the highways (মহাসড়কে). Buses, trucks, rickshaws, baby-taxies etc mainly cause road accidents.The causes of road accidents are reckless driving  (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), brake failures of vehicles, over-taking of one vehicle by another, driving by unskilled (অদক্ষ) drivers. Another reason is violation of traffic rules ( ট্রাফিক নিয়মের লঙ্ঘ). Even the police cannot control     the traffic rule breakers (পুলিশ নিয়ম ভঙ্গকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না). They dash  (ধাক্কা দেয়) the small vehicles and cause accidents. Sometimes pedestrians (পথচারীরা) are crashed (দুর্ঘটনার শিকার হয়) under the wheels of heavy vehicles (ভারী যানবাহনের চাকার নিচে). Sometimes the speedy vehicles fall into the roadside ditch  (রাস্তার পাশের খাদে) or into the river and thus kill the passengers  (যাত্রীরা) on the spot (ঘটনাস্থলে). Many lives are nipped in the bud (অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়). Many a family loses the only earning member (একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি). Many people become crippled (পঙ্গু). Road accidents make many children orphans (এতিম). Many wives become windows (বিধবা). This problem can be solved by all out efforts  (সর্বাাত্মক) from both the authority and the general people. To do so, first our general people have to be made aware (সচেতন). The drivers have to be skilled and they also have to avoid their overtaking tendency (ওভারটেক করার প্রবনতা). And the authority should be more strict (আরও কড়া হতে হবে) to enforce the existing laws (বিদ্যমান আইন প্রয়োগের বেলায়). However, this problem should be solved by taking necessary (প্রয়োজনীয়) steps. Traffic rules should be imposed strictly (জোরালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে). Radio and television can play a vital role  (রেডিও, টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে) in this regard.
Share:

ল্যাংস্টন হিউজের ( Langston Hughes) একটি অসাধারণ কবিতার সরল থিম | ওয়াদুদ খান

জেমস মার্সার ল্যাংস্টন হিউজ
(জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯০২, মৃত্যু: ২২ মে, ১৯৬৭)

Dreams

By Langston Hughes 

Hold fast to dreams
For if dreams die
Life is a broken-winged bird
That cannot fly.
Hold fast to dreams
For when dreams go
Life is a barren field
Frozen with snow.

সরল থিম 
By Wadud Khan
Using very easy and lucid language, Hughes tries to define what a true dream is. Dreams habitually come while we are fast asleep. But these dreams are not dreams at all. True dreams are those which actually take away our sleep. If a person desires to reach his vision and mission, he/she should have a dream. Dream is a mental energy, an inner inspiration. If a person doesn't have any dream, he/she is just like a wingless bird which cannot fly and cannot enjoy freedom. So, human beings should hold fast to dreams. Life becomes like a barren field if there is no true dream. A person loses his hope, ambition, future, career if he/she does not possess any dream. Dream is a will power, a mental strength which moves a person forward. 

Share:

ইয়েটসের একটি বিখ্যাত কবিতার থিম | ওয়াদুদ খান

উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস

মূল কবিতা: 

The Lake Isle of Innisfree
I will arise and go now, and go to Innisfree,
And a small cabin build there, of clay and wattles made;
Nine bean-rows will I have there, a hive for the honey-bee,
And live alone in the bee-loud glade.

And I shall have some peace there, for peace comes dropping slow,
Dropping from the veils of the morning to where the cricket sings;
There midnight’s all a glimmer, and noon a purple glow,
And evening full of the linnet’s wings.

I will arise and go now, for always night and day
I hear lake water lapping with low sounds by the shore;
While I stand on the roadway, or on the pavements grey,
I hear it in the deep heart’s core.

কবিতার থিম: 

BY WADUD KHAN (khanwadud2@gmail.com)

W.B. Yeats, at the beginning of this peom, makes a decision to leave the busy city life. He wants to arise and go now. He has decided to make the break from modern society and go to a place he loves, Innisfree. He decides to build a cabin of clay and wattles to live in there. He imagines his garden with exactly nine rows for growing beans, and he wants to have a beehive for honey. He then will live alone in the bee-loud glade. Here Yeats wonderfully expresses that all he will hear is the loud drone of bees, not the drone of civilization. There will be no stress, no noise, no tiresome activities. Peace will come here slowly. From the time the morning dawns until the evening when the cricket sings, there will be unmixed pleasure.  
Share:

১০০টি ইংরেজি শর্ট ডায়ালগ, কথা বলতে যা প্রায়ই ব্যবহার হয়...

✪ What’s up - কি খবর?
✪ Carry on - চালিয়ে যাও
✪ Wow - বাহ, দারুন তো
✪ My goodness! - একি!
✪ How come - কি ব্যাপার?
✪ What a mess! - কি এক ঝামেলা!
✪ Oh shit - ধ্যাত্তেরি
✪ Yes, go on - হ্যা, বলতে থাক
✪ Oh dear! - বলো কী! 
✪ Hi guys - হ্যালো বন্ধুরা
✪ Good job! – সাবাশ!
✪ So what? – তাতে কি?
✪ Oh, no! - এ হতে পারেনা!
✪ Pay attention! - মনোযোগ দিন!
✪ Definitely – অবশ্যই
✪ Let it pass - ছেড়ে দিন।
✪ Obviously – স্পষ্টত, সম্ভবত
✪ I’m off - আমি গেলাম।
✪ It’s your turn - এবার তোমার পালা
✪ As if - যেন, কি যে হতো
✪ Damn it! - চুলায় যাক!
✪ What a surprise!- হটাৎ যে!
✪ Go to the devil! – গোল্লায় যাক!
✪ What about you? – তোমার খবর কি?
✪ so so - মোটামোটি
✪ So be it - তবে তাই হোক
✪ Who cares! – কার কি যায় আসে!
✪ I'm at a loss - কি বলব ভেবে পাচ্ছিনা!
✪ Heiya! It is you I see - আরে তুমি যে!
✪ Oh! come on - আহ! একটু বুঝতে চেষ্টা করো
✪ Excuse me - এই যে শুনুন
✪ Not a bit - একটুও না
✪ That’s fantastic - এটা সত্যি চমৎকার 
✪ Next to nothing - বলতে গেলে কিছুই না
✪ Mind your language - ভাষা সংযত করো
✪ Come to the point – আসল কথা বল
✪ Thats right - ঠিক বলেছেন
✪ To be frank - খোলাখুলি ভাবে বলতে গেলে।
✪ Really pleased - সত্যি আনন্দিত
✪ I am delighted- আমি আনন্দিত ।
✪ So kind of you! - আপনার দয়া।
✪ Anybody home? - বাড়িতে কেউ আছেন?
✪ Keep quiet - চুপ কর
✪ No entrance - প্রবেশ নিষেধ
✪ It’s enough - যথেষ্ট হয়েছ
✪ What happened - কি হয়েছে
✪ What an idea! - কি বুদ্ধি!
✪ Well done - সাবাশ
✪ Indeed! - সত্যি!
✪ How peaceful! - কি শান্ত!
✪ Get lost - বিদায় হোন।
✪ Let me see - আমাকে দেখতে দাও
✪ Oh sure - ও নিশ্চয়ই
✪ Who knows! – কে জানে!
✪ Bullshit! – বাজে কথা
✪ But who cares! - কে ধারধারে!
✪ No more buts - আর কোন কিন্তু নয়
✪ How so – তা কি করে হয়?
✪ I think so - আমি তাই মনে করি
✪ Calm down - শান্ত হও
✪ Let’s have a look - চল দেখি
✪ Let’s run away - চলো এক্ষুনি পালাই 
✪ I am getting wet - আমি ভিজে যাচ্ছি
✪ I don’t care! – আমার কিছু যায় আসেনা!
✪ How else – আর কিভাবে?
✪ Little by little – ক্রমান্বয়ে।
✪ Is it so! - তাই নাকি!
✪ If you do case - যদি আপনি চান
✪ Have a good day - ভাল একটি দিন কাটাও।
✪ Let’s sit somewhere - চল কোথাও বসি
✪ So far so good - এ পর্যন্ত সবই ভালো
✪ I tend to think – আমার কেন যেন মনে হয়।
✪ I suppose so – আমিও সেটা ধারণা করছি।
✪ I don’t mind – আমি কিছু মনে করি না।
✪ If so, so what - যদি তাই হয় তাতে কী
✪ Keep your word – তোমার কথা রেখো।
✪ Nothing is impossible – কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
✪ Whatever (you want) – তুমি যা চাও।
✪ Whatever you do? – তুমি যা কর।
✪ Why should I care? – কেন আমি পরোয়া করব?
✪ Something else – অন্য কিছু।
✪ Nothing else – অন্য কিছুই না।
✪ Talk sense - চিন্তা করে কথা বল 
✪ Don’t say anymore – আর কিছু বলো না।
✪ Forget it - ও ভুলে যাও। 
✪ What a pity- কি দু:খজনক ।
✪ Hold on - লাইনে থাকুন
✪ Do it at once! - এক্ষুনি কর!
✪ Speak with care - সাবধানে কথা বল।
✪ How strange! - কি অদ্ভুত!
✪ By the grace of Allah - আল্লাহার রহমতে
✪ How absurd! - কি বাজে বকছো!
✪ Good riddance! - যাক বাচা গেল!
✪ Just for asking - চাইলেই পাওয়া যায়
✪ Stand in queue - লাইনে দাঁড়ান
✪ No smoking - ধূমপান নিষেধ
✪ Let me digress - একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাওয়া যাক 
✪ I swear I will - কসম আমি করব ।
✪ I give up - আমি ছেড়ে দিয়েছি ।
✪ Pardon me - ক্ষমা করো।
✪ It’s sound good - তোমার কথা ভালো লাগছে।
✪ On the other hand - অপর পক্ষে 

(collected from Internet
Share:

মাওলানা সাদকে নিয়ে আর বিতর্ক চাই না

বিশ্ব ইজতেমার নাম শোনেননি এমন কাউকে এই বাংলাদেশে পাওয়া এখন মুশকিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচার না থাকায় এবং চান্দা কিংবা ধান্ধার ব্যাপার না থাকায়- খুব দ্রুত তাবলীগ জামাত সর্বসাধারণের আস্থা ও ভালোবাসা পেতে সমর্থ হয়।

আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে ভারতের মেওয়াত অঞ্চলে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলবী (রহ.) এই মেহনত শুরু করেন। মাদরাসা ও খানকাহ কেন্দ্রিক ধর্ম চর্চার বলয় থেকে বের হয়ে তিনি এক নবজাগরণ সৃষ্টি করেন। আম জনতা তার মেহনতের সাথে শরীক হতে থাকেন এবং নিজেকে বদলাতে থাকেন আমূল।

বিশ্ব তাবলীগের মূল মারকাজ হচ্ছে দিল্লীর নিজামুদ্দীনে। পরবর্তীকালে হাক্কানী ওলামায়ে কেরাম, বুজুর্গানে দ্বীন এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন তাবলীগ ও দাওয়াহ- একটি হক মেহনত। এবং এ মেহনতের সাথে জুড়লে বদলে যেতে পারে যে কারও জীবন। পাঁচও মহাদেশে এই মেহনত এখন ছড়িয়ে পড়েছে। বদলে গেছে লাখো জীবন।

মাওলানা সাদ কান্ধলবী (মা. আ.)
সাম্প্রতিককালে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলবী (রহ.) এর দৌহিত্র নিজামুদ্দীন মারকাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী (বিশ্ব আমীরও বলা হয়ে থাকে) মাওলানা সাদ কান্ধলবীর কিছু বয়ান নিয়ে ওলামাদের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দেয়। ওলামা মাশায়েখদের মতপার্থক্য নতুন কোনও বিষয় নয়। আগের যুগেও হয়েছে। চারটি মাজহাব কিংবা লা-মাজহাব কিন্তু মতপার্থক্য থেকেই।

ওলামায়ে দেওবন্ধের আনীত অভিযোগকে স্বীকার  এবং ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন মাওলানা সাদ। নবী-রসূল বাদে কেউই ভুলের উর্ধে নয়। ভুল সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।

১৩ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম ওলামায়ে দেওবন্দ ও মাওলানা সাদের মাঝে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।

তবুও এদেশের কিছু ওলামা-মাশায়েখ মাওলানা সাদকে টঙ্গীতে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় শরীক হতে না দিয়ে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ, তাবলীগ-অন্তপ্রাণ সাথীদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছেন।

যে খানদান বিশ্ব দরবারে তাবলীগের অমিয় বাণী পৌঁছে দিয়েছেন, এখনও দিচ্ছেন, সেই খানদানের অনুপস্থিতি ইজতেমার সৌন্দর্যকে অনেকটা মলিন করেছে।

এদেশের সমস্ত ইসলামী পন্ডিত ও বুজুর্গানে দ্বীনের কাছে এই অধম, গুনাহগার, খাকছার ব্যক্তিটির বিনীত প্রার্থনা- আপনারা মাওলানা সাদ কান্দলবী (মা.আ.)কে নিয়ে এই ধ্বংসাত্মক খেলা বন্ধ করুন। তাবলীগকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।

তাবলীগ বিতর্কিত, ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা বন্ধ হয়ে গেলে পুরো মুসলিম উম্মাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

(উপরিউক্ত লেখা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত)
ওয়াদুদ খান
১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
সদরপুর, ফরিদপুর
Share:

ক্যাডার শিক্ষকরা কাজ করেন না! (অভিযোগ খণ্ডন)


কিছু কথিত বুদ্ধিজীবী, অবশ্য তাদেরকে টকশোজীবী বলাই বেশি শ্রেয়, বিভিন্ন টকশোতে গিয়ে ঢালাওভাবে বলে থাকেন সরকারি কলেজ শিক্ষকরা দুপুর বারোটার পর কলেজে থাকেন না। কেউ কেউ আরও বাড়িয়ে বলেন, ওনারা সপ্তাহে দুদিন আসেন, পাঁচদিন ঘুমান। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ক্যাডার শিক্ষক কর্মকর্তাদের মাস শেষে বেতন উত্তোলন করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। আহ, কী আরাম শিক্ষকদের!

অথচ, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়া, ভিত্তিহীন, অজ্ঞতাপ্রসূত, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনসাধারণের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু বুদ্ধিজীবী (?) এসব অভিযোগ করে থাকেন। বিবেকের দায়বোধ থেকে এসব অভিযোগ খণ্ডনের জন্য কলম ধরলাম।

বেশিরভাগ সরকারি কলেজ বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। অনেকে কলেজে বারো থেকে ষোলোটি বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স পড়ানো হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক না দেয়া সত্ত্বেও, বিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ সেখানে স্বেচ্ছায় ক্লাস নিয়ে থাকেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বছরজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। কাজ চলে ভর্তি ও ফরম পূরণের। তাদের পরীক্ষার নিয়মিত রুটিন হলো- দুপুর ২.০০টা থেকে বিকেল ৫.০০টা পর্যন্ত। এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের প্র‍্যাক্টিক্যাল ক্লাসগুলো সাধারণত বিকেলে হয়ে থাকে।

অভ্যন্তরীণ সকল পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস-কোর্স, অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষার সকল খাতা গভীর রাত জেগে মূল্যায়ন করে থাকেন সরকারি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।

একটি ক্লাস নিতে যদিও বাহ্যত এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে, সেই একটি মানসম্মত ক্লাস তৈরির জন্য একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষককে ক্লাসের বাইরে খাটতে হয় বেশ কয়েক ঘণ্টা। গভীর রাতেও। যেমন, লেসন প্লান করা, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করা, ক্লাস টেস্ট নেয়ার জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সাজেশন তৈরি করা ইত্যাদি।

ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্টের তকমা পড়ানো থাকলেও, কার্যত শিক্ষকরা কোনো ছুটিই ভোগ করতে পারেন না। মাঝেমাঝে শুক্রবারেও বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা কিংবা চাকরি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হয়। 

গ্রীষ্মকালীন অবকাশে উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষা পরিচালনা করতে হয়। শীতকালীন অবকাশে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সারা রমযান মাসজুড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেশনের, বিভিন্ন বর্ষের নানা পরীক্ষা লেগে থাকে।

এছাড়াও বিজ্ঞ ক্যাডার শিক্ষকগণ বছরে বায়ান্নটি শনিবার বেশি শ্রম দেন। এজন্য বাড়তি সম্মানী তারা কখনো পান না। যেখানে প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য সকল কর্মচারী সপ্তাহে দুদিন ছুটি পান, সেখানে শিক্ষকসম্প্রদায় ছুটি পায় মাত্র একদিন।

এছাড়াও সকল জাতীয়দিবসে শিক্ষকদের স্বস্ব কলেজে উপস্থিত থেকে দিবসটি উদযাপন করতে হয়। এমনকি দিবসটি শুক্রবারে হলেও। 

যেকোনো জাতীয় নির্বাচনকালে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয় ক্যাডার শিক্ষক কর্মকর্তাদের। ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালনকালে অনেকে পটল তুলেছেন। সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। 

সম্ভবত বুদ্ধিজীবী কিংবা টকশোজীবীরা তাঁদের এলাকার বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের কলেজে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি মুদি-দোকান, ওষুধের ফার্মেসি, হোমিওপ্যাথির প্র্যাকটিস, বইয়ের দোকান, রাজনীতি- ইত্যাদি করে দেখতে অভ্যস্ত। তাঁদের সাথে সরকারি কলেজের ক্যাডার শিক্ষকদের গুলিয়ে ফেলেছেন। মনে রাখতে হবে- তেল ও জল এক নয়। 

"শিক্ষকতা পেশা আরামের। এখানে কোনো কাজ নেই।"  এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করে মূলত ক্যাডার শিক্ষকদের চলমান ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন ও দাবিসমূহকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এক সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য রয়েছে। চক্রান্তও বটে।

ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর
০১৭৮৫-৫৬২০৮০
Share:

Idioms & Phrases (From 1st BCS to 35th BCS)


১। ABC-প্রাথমিক জ্ঞান [31st BCS Written]
২। All in-পরিশ্রান্ত [17th BCS Written]
৩। A round dozen-পূর্ণ ডজন বা ১২টি [14th BCS Written]
৪। An apple of discord-বিবাদের বিষয় [32nd BCS Written]
৫। As though-যেন [29th BCS Written]
৬। At a loss-হতবুদ্ধি [28th BCS Written]
৭। A castle in the air-আকাশকুমুস কল্পনা [11th BCS Written]
৮। A man of letters-পন্ডিত ব্যক্তি [32nd BCS Written]
৯। A man of straw-দুর্বলচিত্তের লোক [11th BCS Written]
১০। A square pig in a round whole-অনুপযুক্ত [18th BCS Written]
১১। After one’s own heart-মনের মতো [25th BCS Written]
১২। An axe to grind-সম্পৃক্ততার ব্যক্তিগত কারণ [24th BCS Written]
১৩। At arm’s length-নিরাপদ দূরত্ব [21st BCS Written]
১৪। Benefit of the doubt-সন্দেহাবসর [15th BCS Written]
১৫। Burning question-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় [28th BCS Written]
১৬। By dint of-বদৌলতে [17th BCS Written]
১৭। By fits and starts-অনিয়মিতভাবে [22nd & 31st BCS Written]
১৮। Bring to pass-কোন কিছু ঘটা [27th BCS Written]
১৯। Bolt from the blue-বিনা মেঘে বজ্রপাত [29th BCS Written]
২০। Bottom line-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় [15th BCS Written]
২১। Black and blue-নির্মমভাবে [TEO -2015]
২২। Black sheep-কুলাঙ্গার [32nd BCS Written]
২৩। Cry in the wilderness-অরণ্যে রোদন [22nd BCS Written]
২৪। Call to mind-স্মরণ করা [33rd BCS]
২৫। Come to terms-ঐকমত্যে পৌছা [20th & 31st BCS Written]
২৬। Cast aside-বাতিল করা [24th BCS Written]
২৭। Draw the line-সীমারেখা নির্ধারণ করা [21st BCS Written]
২৮। Dilly dally-সময় অপচয় [20th BCS]
২৯। Dog days-সবচেয়ে গরমের দিন [14th BCS]
৩০। Day after day-দিনের পর দিন [32th BCS Written]
৩১। Down to earth-বাস্তবিক [TEO -2015]
৩২। Eat humble pie-অপমান হজম করে ক্ষমা চাওয়া [18th BCS Written]
৩৩। End in smoke-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়া [31st BCS Written]
৩৪। Few and far between-কদাচিত [31st BCS Written]
৩৫। Flesh and blood-রক্তমাংসের দেহ [21st BCS Written]
৩৬। For good-স্থায়ীভাবে [TEO-2015]
৩৭। Fool’s paradise-বোকার স্বর্গ [28th BCS Written]
৩৮। Fresh blood-নতুন সভ্য [29th BCS Written]
৩৯। Gift of the gab-বাগ্নিতা [27th BCS Written]
৪০। Get along-কারো সাথে সুসম্পর্ক থাকা [27th BCS Written]
৪১। Give in-বশ্যতা স্বীকার করা [13th BCS Written]
৪২। Half a chance-সামান্য সুযোগ [21st BCS Written]
৪৩। Hand in glove-ঘনিষ্ঠ [23rd BCS Written]
৪৪। Hold water-পরীক্ষায় টিকে থাকা [11th BCS]
৪৫। Heart and soul-সর্বান্তকরণে [32nd BCS Written]
৪৬। In cold blood-ঠান্ডা মাথায় [14th BCS & 15th BCS Written]
৪৭। In case-যদি [29th BCS Written]
৪৮। In addition to-অধিকন্তু [25th BCS Written]
৪৯। In order that-যাতে [25th BCS Written]
৫০। In black and white-লিখিতভাবে [11th BCS Written]
৫১। Kith and kin-আত্মীয় [সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা-২০১৫]
৫২। Look forward to-ভালো কিছু আশা করা [29th BCS Written]
৫৩। Let loose-বল্গাহীনভাবে ছেড়ে দেয়া [21st BCS Written]
৫৪। Make a case-যুক্তি দেখানো [21st BCS Written]
৫৫। Make hay while the sun shines-ঝোপ বুঝে কোপ মারা [24th BCS Written]
৫৬। Maiden speech-প্রথম বক্তৃতা [23rd, 26th, 34th BCS Written]
৫৭। Make up one’s mind-মনস্থির করা [29th BCS Written]
৫৮। Make good-ক্ষতিপূরণ করা [24th BCS Written]
৫৯। Null and void-বাতিল [32nd BCS Written]
৬০। Out of the question-অসম্ভব [15th BCS Written]
৬১। Out and out-সম্পূর্ণরুপে [11th, 26th BCS Written]
৬২। Open secret-যে গোপন সর্বজন বিদিত [28th BCS Written]
৬৩। Pick a quarrel with-ঝগড়া বাধানো [24th BCS Written]
৬৪। Pros and cons-খুটিনাটি [31st BCS Written]
৬৫। Put heads together-একমত হওয়া; একত্রে বসে পরামর্শ করা [24th BCS Written]
৬৬। Pass away-মারা যাওয়া [33rd BCS]
৬৭। Put up with-সহ্য করা [15th, 31st, 33rd BCS Written]
৬৮। Raise one’s eyebrow-চোখ কপালে ওঠা, বিস্মিত হওয়া [32nd BCS]
৬৯। Red handed-হাতে নাতে [28th BCS Written]
৭০। Rank and file-সাধারণ সৈনিকb[22nd BCS Written]
৭১। Spare no pains-যথাসাধ্য সব কিছু করা [24th BCS Written]
৭২। Swan song-শেষ কর্ম [23rd BCS]
৭৩। Soft soap-তোষামোদ করা [14th BCS]
৭৪। Sorry figure-কৃতিত্ব দেখাতে না পারা [27th BCS Written]
৭৫। Tell upon-ক্ষতি করা [25th BCS Written]
৭৬। Three score-ষাট [16th BCS]
৭৭। Through and through-সম্যকভাবে [17th BCS Written]
৭৮। To smell a rat-সন্দেহ করা [21st BCS Written]
৭৯। Take a fancy to-ভালো লাগা [27th BCS Written]
৮০। Take into account-বিবেচনা করা [33rd BCS]
৮১। Through thick and thin-বিপদে আপদে সব অবস্থাতেই [27th BCS]
৮২। To do away with-ত্যাগ করা [36th BCS]
৮৩। Turn over a new leaf-নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা [14th BCS]
৮৪। To end in smoke-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়া [31st BCS]
৮৫। To get along with-কারো সাথে সুসম্পর্ক থাকা [28th BCS]
৮৬। To meet trouble half way-হতবুদ্ধি হওয়া [14th BCS]
৮৭। Up and doing-উঠে পড়ে লাগা [20th BCS Written]
৮৮। With a good grace-সানন্দে [17th BCS Written]
৮৯। With a view to-উদ্দেশ্যে [13th BCS Written]
৯০। Worth one’s while-যথার্থ মূল্য দেয়া [20th BCS Written]
৯১। White elephant-কাজে আসে না অথচ দামি ও অসুবিধাজনক [10th, 26th BCS]

Collected by Wadud Khan
Lecturer, English 
Sadarpur Govt College
Share:

"স্রষ্টা কি আছে? স্রষ্টা কি নেই?"- আদিমতম প্রশ্ন

আচ্ছা, মানুষ মরার পরে কী হয়?
আদিমতম এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে নিরন্তর ছুটে চলেছে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। সৃষ্টি লগ্ন থেকেই। কেউ ভাবে- মরার পরে মানুষ গলে যায়, পঁচে যায়, জৈব সার হয়। মানুষ বেঁচে থাকে অন্য মানুষের অন্তরে। তাদের কাজের কারণে নামটা পেয়ে যায় অমরত্ব। কিন্তু ব্যক্তি মানুষটির কী হয়? কোথায় হারিয়ে যায় সে? সে কি আর কখনো জন্ম নেয়? যারা জন্মান্তরের মিথে (myth) বিশ্বাস করে, তারাও আবার এই মায়াময় পৃথিবীতে জন্ম নিবেন- এটা পুরোপুরি মানতে পারেন না। সন্দেহ জাগে।

কী হয় মরার পরে?
সত্যি সত্যি কি ব্যক্তিটি এই মহাবিশ্বের ধুলিকণা কিংবা জলকণার সাথে বিলীন হয়ে যায়?

মরার পরে আবার কী হয়?
এই প্রশ্নটা মনের গহীনে জাগে না অন্য কোনো প্রাণির। তাই, তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য- ভোগ, ভক্ষন, প্রজনন। অতঃপর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অনন্ত অসীম কালের জন্য হারিয়ে যাওয়া। তাদের জীবন চক্রে তেমন বৈচিত্র্য নেই। তারা বিকশিত হয় না। চিন্তা করবার এই বিস্ময়কর ক্ষমতাও তাদের এতটা নেই। এ কারণে গরু, বাছুর, ভেড়া, বরকি, হাঁস, মুরগি- ওরা মানুষ নামক এই জটিল প্রাণি থেকে অধিক নিশ্চিন্ত ও সুখী। যদিও শিম্পাঞ্জি, বানর, হনুমান কিংবা ডলফিনের বুদ্ধি আছে বলা হয়- মানুষের মতো ওরা বিকশিত হতে পারেনি। পারবেও না।

কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীর? জলরাশির? ভূমির? পাহাড়ের? পর্বতের? কীভাবেই বা সৃষ্টি হয়েছিল মানুষ নামের এই বিস্ময়কর প্রাণিটির?

একটা 'বিগ ব্যাং' থেকেই কি?
হঠাৎ করে পৃথিবীতে বিশাল একট শব্দ হলো, আর ঝাঁকে ঝাঁকে পয়দা হলো এত এত প্রাণির! তাও আবার জোড়ায় জোড়ায়! এত প্রাণ কীভাবে সৃষ্টি হলো?


আচ্ছা, এই 'বিগ ব্যাং'- এর আগে কী ছিল?
কিছুই কি ছিল না?
কেবল কি শূন্যতা আর শূন্যতাই ছিল?
সেই শূন্যতার সবটা জুড়ে কি কিচ্ছু ছিল না?

যদি কোনো বাহ্যিক শক্তি 'বিগ ব্যাং' ঘটিয়ে থাকে- কে সে জন? কী তার পরিচয়? কেনই বা ঘটালেল মহা বিস্ফারণ, এত প্রাণের সঞ্চার, এত বৈচিত্র?

এই কঠিন কিংবা সহজ প্রশ্নের উত্তর যারা খোঁজে তারা দুই ভাগ হয়ে যায়- কেউ কেউ বলেন, "সেই তো স্রষ্টা আমার। সেই সে জন, যিনি এই পৃথিবীর সবকিছু করেছে সৃজন।" হয়ে উঠে বিশ্বাসী মানব। স্রষ্টার পদতলে নিজেকে করে দেয় সমর্পণ।

আরেক দল বলে, "সব এমনি এমনি হয়েছে। সবই প্রকৃতির লীলাখেলা। ঈশ্বরে বিশ্বাস করে বোকারা। মরার পরে কল্পিত স্বর্গ-নরকে বিশ্বাস করে গাধারা।"

আচ্ছা, মানুষ তো একদিন মরে যাবে এটা তো সত্যি।
পৃথিবীতে কেউ আর দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি, আসবে না- এটাও তো সত্যি।

কোথায় চলে যায় মানুষ?
কার কাছে যায়?
কেন এতোএতো প্রাণির মধ্যে মানুষেরই কেবল থাকল যৌক্তিক চিন্তা করার বিস্ময়কর ক্ষমতা? কেন কেবল মানুষেরই আছে বিবেক, আবেগ, বোধ?
কেন?
কেন?

এইসব কেনর উত্তর খুঁজতে গিয়েও কি স্রষ্টায় অবিশ্বাসী হওয়া যায়?

ভাবো মানুষ!
ভাবো তো!

ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
মোবাইল: ০১৭৮৫-৫৬২০৮০


Share:

নো বিসিএস, নো ক্যাডার (KNOW BCS, KNOW CADRE)

ফেসবুক খুললেই ইদানীং শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রোফাইলে কিংবা টাইমলাইনে একটি বিশেষ স্লোগান দেখা যায়- যা আমজনতারও নজর কেড়েছে। সেটি হলো- NO BCS, NO CADRE- যার সরলার্থ  'বিসিএস ছাড়া ক্যাডার নয়'।

শিক্ষা ক্যাডার বাদে অপরাপর ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনেকে এতদিন জানতেনই না- এই বিচিত্র বঙ্গদেশে বিসিএস পরীক্ষায় না বসেও, নানা ফাঁক ফোকড়ে রাতারাতি ক্যাডার হওয়া যায়।

NO BCS, NO CADRE স্লোগানকে ধারণ করে আমি একটি প্রোফাইল ফ্রেম তৈরি করেছিলাম- যা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২২০০ কর্মকর্তা তাঁদের প্রোফাইলে সেট করেছিলেন। এমনকি অনেক ছাত্র, দোকানদার, অন্যপেশার লোক, হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকগণও সেটি ব্যবহার করেছিলেন। অনেকেই তখন ইনবক্সে জানতে চাইতো, "আচ্ছা, নো বিসিএস, নো ক্যাডার- কেন লিখেন? এর মানেই বা কী?" তাদেরকে সংক্ষেপে বলতাম, "KNOW BCS, KNOW CADRE. তাহলেই বুঝবেন আমরা কেন গলা ফাটিয়ে রোজ বলছি NO BCS, NO CADRE."

কয়েক বছর আগের ঘটনা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা আনতে শিক্ষাবোর্ডে গিয়েছিলাম। কাকতালীয়ভাবে পরিচয় হয়েছিল নগরকান্দা থানার এক বেসরকারি কলেজ শিক্ষকের সাথে। বাসে চেপে একসাথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এসেছি। আমাকে সে কি শ্রদ্ধা! সিট কম থাকায় জোর করে আমাকে সিটে বসিয় তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন অনেকক্ষণ। বারবার আফসোস করছিলেন, "জানেন স্যার, বিসিএস ক্যাডার হবার খুব স্বপ্ন ছিল। তিনবার প্রিলিমিনারি দিয়েছি। কিন্তু ভাগ্যের শিকে ছিড়েনি। লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত যেতে পারিনি। আপনাদেরকে দেখলে খুব হিংসে হয়। কত্ত মেধাবী আপনারা!" আমি আন্তরিকভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনাদের কলেজে নিয়োগ কি ফেয়ার হয়েছিল?" তিনি লম্বা একটা শ্বাস ছেড়ে বললেন, "ফেয়ার! এই দেশে বিসিএসের নিয়োগই একটু ফেয়ার আছে। কলেজের নিয়োগ তো একটা ভাওতাবাজি। এমপি, ম্যানেজিং কমিটি, ডোনেশন- কত কাহিনি।"

তখন আমার মনে একটি স্মৃতি দোলা দিলো। আমি তখন অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে পড়ছি। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশও করেছি। আমাকে আমার এক আত্মীয় ফোন করে বলল, "ওয়াদুদ, তোমাকে একটা প্রক্সি দিতে হবে।" 'প্রক্সি' শব্দটা শুনে অবাক হয়েছিলাম। পরে উনি আমাকে বুঝিয়ে বললেন, "হয়েছে কি, একটা কলেজে যোগদানের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার চুক্তি করেছি। কমপক্ষে তিনজনের আবেদন করতে হয়। আমি আছি, আরেকজনকে রেডি করেছি, আর তুমি হলে তিনজন হয়। সবই স্টেজ ম্যানেজড। পরীক্ষার ফি, খরচ, খাওয়া-দাওয়া- সব আমার।"

সেই যোগদান নাটকের মঞ্চায়ন, দৃশ্যায়ন, নিখুঁত অভিনয়- এখনো মানসপটে ভাসে। 

সেদিন রাতে টাঙ্গাইল পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে বসে লাল চা খাচ্ছিলাম। আমার পরিচিত এক রাজনৈতিক নেতা- আমাকে দেখে হাসি হাসি মুখ করে বলল, "দশ লাখ টাকা খরচ করে বউকে আপনাদের মতো ক্যাডার বানিয়ে দিলাম।" বিস্তারিত জানতে চাইলে বলল, "তিন বছর আগে দশ লাখ টাকা ডোনেশন দিয়ে বাসাইল মহিলা কলেজে বউকে ঢুকিয়ে দিলাম। এখন তো সেটা সরকারিকরণের তালিকায়। শুনছি ওরাও নাকি ক্যাডার মর্যাদা পাবে।" আমি মজা করে বললাম, "দাদা, আপনি হলেন রাজনীতির ক্যাডার, আর বউ হচ্ছে শিক্ষা ক্যাডার- সবাই ক্যাডার- হা-হা-হা।" 

পরীক্ষা না দিয়ে মোবাইল  টাওয়ার কিংবা এটিএম বুথের গার্ড হওয়া এ দেশে না গেলেও, শিক্ষা ক্যাডার হওয়া যায়। কারও দৃষ্টি এদিকে নেই।

যাহোক, কিছুদিন পর, সেই নগরকান্দার ইংরেজি স্যারের ফোন পেয়েছিলাম। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে ওনি আমাকে জানালেন," স্যার, আমাদের কলেজ তো সরকারি হয়ে গেছে। আমরাও এখন লিখব- বিসিএস সাধারণ শিক্ষা। আচ্ছা স্যার, সত্যায়িত করার একটা সিল বানাতে কত খরচ পড়বে? ইংরেজিতে বানাবো নাকি বাংলায়?" আমি নির্বাক হয়ে শুনে যাচ্ছিলাম। শুধু বললাম, "আপনারা সত্যিই লাকি গো!"

এতক্ষণ আলোচনা শোনার পর আশাকরি বিজ্ঞ পাঠক বুঝতে পেরেছেন- "এই দেশে বিসিএস জিনিসটা কী? আর ক্যাডারই বা কী ?"

ক্যাডার হওয়ার এমন সস্তা ও জনপ্রিয় পথ পৃথিবীর আর কোথাও কি আছে ?

ওয়াদুদ খান 
কবি ও কথাশিল্পী 
সদরপুর, ফরিদপুর 
১৭ নভেম্বর, ২০১৭  
Share:

Phrases & Idioms for BCS exam (From 10th BCS to 35th BCS)


যেকোনো চাকরি-পরীক্ষায় Phrases and Idioms একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ প্রায় প্রতিটি পরীক্ষায়ই ২-৫ মার্কস এই টপিকে বরাদ্দ থাকে। তাহলে আসুন, সহজে Idiom এবং Phrase এর পার্থক্য জেনে নিই।



Idiot যেমন কথা শুনতে চায় না Idiom-ও তেমনি। Idiom-এর ক্ষেত্রে শব্দের আক্ষরিক অর্থ হয় একরকম কিন্তু তার ভাবার্থ হয় ভিন্নরকম। যেমন: A black sheep এর আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে একটি কালো ভেড়া। কিন্তু, এর ভাবার্থ হলো কুলাঙ্গার


কিন্তু Phrase ওরকম নয়। Phrase এর অর্থ ইংরেজি শব্দটার সাথে আক্ষরিক অর্থের মোটামুটি মিল থাকে। যেমন: In the morning একটি Phrase যার সরলার্থ হচ্ছে সকালে। কোনো জটিলতা নেই।

The meaning of an idiom is not directly linked to the individual words. But the meaning of an phrase is directly linked to the individual words. 
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, raining cats and dogs- একই সাথে Idiom এবং Phrase.


কিন্তু, A herd of cats- শুধুই একটি Phrase.

সকল Idiom-ই Phrase কিন্তু সকল Phrase-ই Idiom নয়...



যাহোক, এ পর্যায়ে ১০তম বিসিএস থেকে ৩৫ তম বিসিএস পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষায় আসা Phrases and Idioms-গুলো একত্র করে বাংলা অর্থসহ তুলে ধরছি।

Get away with (ধরা না পড়ে অন্যায় কিছু করা),
Pot luck (খাওয়ার যা কিছু আছে),
A trying time (দুঃসময়),
Caught on (আক্রান্ত হওয়া),
Taken in (নিয়ন্ত্রিত),
At stake (বিপদাপন্ন),
Took a fancy to (পছন্দ),
Broke out (প্রার্দুভাব)।

Care for (গ্রাহ্য করা),
Do away with (হত্যা করা),
Few and far between (মাঝে মাঝে),
To turn the tide (ধারাবাহিতা পরিবর্তন করে দেওয়া), A castle in the air (আকাশ কুসুম কল্পনা),
In black and white (লিখিতভাবে),
Through thick and thin (বিপদে আপদে সব অবস্থাতেই),
A man of straw (দুর্বল চিত্তের লোক),
In vain (ব্যর্থ)।



Put off (খুলে ফেলা),
Make to (সন্তোষজনক না হওয়া সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যাওয়া),
In consonance with (সামঞ্জস্য রেখে),
With a view to (উদ্দেশে),
Give in (আত্মসমর্পণ করা),
At par (সমানভাবে),
Go in for (নিজেকে কোন কাজে নিযুক্ত করা),
Owing to (জন্য),
A far cry (অসম্ভব প্রায়)।

Out of question (প্রশ্নাতীত),
Look down upon (ঘৃণার চোখে দেখা),
See through (বুঝতে পারা),
Show off (অহংকার করা),
Put up with (সহ্য করা),
Benefit of the doubt (সন্দেহবশত),
Out and out (সম্পূর্ণরূপে),
In cold blood (স্থির মস্তিষ্কে),
Line up to (পথ),
On one's own (নিজ দায়িত্বে)।

All for (অত্যন্ত ব্যগ্র),
By dint of (উপায়ে),
Through and Through (সম্পূর্ণভাবে),
On the brink (প্রান্তে),
With a good grace (সুনজরে),
In the wake of (পশ্চাতে),
A fool's paradise (বোকার স্বর্গ)।

To all intents and purposes (বাস্তবিকপক্ষে),
A square pig in a round hole (বেখাপ্পা),
Swan song (শেষ কাজ),
Eat the humble pie (ভুল স্বীকার করা),
Get on with (খাপ খেয়ে চলা),
Bear out (উক্তি সমর্থন করা)।

With an eye to (দৃষ্টি রেখে),
Come to terms (আপোষ করা),
Open secret (যে গোপন জিনিস সবারই জানা),
Cry in the wilderness (অরণ্যে রোদন),
Gain the upper hand (নিয়ন্ত্রণ নেওয়া),
Worth one's while (লাভজনক),
Up and doing (সক্রিয় হয়ে)।

Make a case (দাবীর পিছনে যুক্তি রাখা),
Let loose (খারাপ কিছুর সম্ভাবনা খুলে দেওয়া),
Half a chance (কোন কিছু করার সুযোগ দেওয়া),
To smell a rat (সন্দেহ করা),
Gain ground (অগ্রসর হওয়া),
Fresh and blood (রক্ত-মাংস বা মানবীয়),
At arm's length (দূরে),
Draw the line (পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা)।

Break away (প্রবল চেষ্টায় পালিয়ে যাওয়া),
Fall through (ব্যর্থ হওয়া),
By fits and starts (অনিয়মিতভাবে),
A throne in one's flesh (গলার কাটা),
To throw out of gear (অকেজো হয়ে পড়া),
Rank and file (সাধারণ সৈনিক)।

Cast aside (অবহেলা করা),
Hang around (ঝুলিয়ে দেওয়া),
Hand in glove (ঘনিষ্ঠ),
Throw cold water (নিরুৎসাহিত করা),
An axe to grind (গুপ্তস্বার্থ সাধনের উদ্দেশ্য),
Put heads together (নিজেদের মধ্যে কোন কিছু নিয়ে আলোচনা করা)।

Run short of (শেষ হয়ে যাওয়া),
Spare no pains (চেষ্টার ত্রুটি না করা),
Make good (ক্ষতিপূরণ করা),
Pick a quarrel with (ইচ্ছাকৃত ঝগড়া করা),
Make hay while the sun shines (সুযোগের সদ্ব্যবহার করা),
Tell upon (ক্ষতি করা),
Null and void (বাতিল)।

In order that (কারণ),
So long as (যতক্ষণ),
Get along with (কারো সাথে ভালো সম্পর্ক থাকা), Turn up (হাজির),
feel like (কোন কিছু সম্পর্কে অনুভূতি),
In addition to (অধিকন্তু)।

With might and main (যথাসাধ্য ক্ষমতা সহকারে), Gift of the gab (বাগ্মিতা),
Look into (তদন্ত করা),
To the purpose (যথাযথভাবে),
Burning issue (আলোচ্য বিষয়),
Sorry figure (খারাপ ফল)।

At a loss (কিংকর্তব্যবিমূঢ়),
Laughing stock (উপহাসের পাত্র),
Red handed (হাতেনাতে ধরা পড়া),
Burning question (আলোচিত বিষয়)।

Make up one's mind (মনস্থির করা),
Look forward to (প্রত্যাশা করা),
Fresh blood (নবীন),
Fall out (ঝরে যাওয়া),
In case of (কোন কিছু ঘটলে),
As though (যেন)।

Out of date (সেকেলে),
With a high hand (বেপরোয়াভাবে),
As soon as (শীঘ্রই),
Get rid of (মুক্ত করা),
Fall flat (কাঙ্ক্ষিত ফল লাভে ব্যর্থ হওয়া),
Because of (কারণে)।

Pros and cons (পক্ষের ও বিপক্ষের যুক্তি),
Put out (নিভিয়ে দেওয়া),
Run after (ধাওয়া করা),
ABC (প্রাথমিক জ্ঞান),
White elephant (অত্যন্ত ব্যয়বহুল),
Look after (তত্ত্বাবধান করা)।

Day after day (দিনের পর দিন),
Black sheep (কুলাঙ্গার),
A man of letters (পণ্ডিত লোক),
An apple of discord (বিবাদের কারণ),
Heart and soul (সর্বান্তকরণে)।

Pave the way (সুগম করা),
Give in (নতিস্বীকার করা),
Turn in (হস্তান্তর করা),
Black out (অন্ধকারে ঢেকে ফেলা),
In harness (কর্তব্যরত অবস্থায়),
Come of (জন্মগ্রহণ করা)।

A wolf in sheep's clothing (আসল চরিত্রের বিপরীতমুখী ভূমিকা),
Helter skelter (এলোমেলোভাবে),
Foot the bill (অর্থ পরিশোধ করা),
Fight shy of (এড়িয়ে চলা),
Carry the day (জয়লাভ করা)।

Out of date (সেকেলে),
With a high hand (বেপরোয়াভাবে),
As soon as (শীঘ্রই),
Get rid of (মুক্ত করা),
Fall flat (কাঙ্ক্ষিত ফল লাভে ব্যর্থ হওয়া),
Because of (কারণে)।

Pros and cons (পক্ষের ও বিপক্ষের যুক্তি),
Put out (নিভিয়ে দেওয়া),
Run after (ধাওয়া করা),
ABC (প্রাথমিক জ্ঞান),
White elephant (অত্যন্ত ব্যয়বহুল),
Look after (তত্ত্বাবধান করা)।

Day after day (দিনের পর দিন),
Black sheep (কুলাঙ্গার),
A man of letters (পণ্ডিত লোক),
An apple of discord (বিবাদের কারণ),
Heart and soul (সর্বান্তকরণে)।

Pave the way (সুগম করা),
Give in (নতিস্বীকার করা),
Turn in (হস্তান্তর করা),
Black out (অন্ধকারে ঢেকে ফেলা),
In harness (কর্তব্যরত অবস্থায়),
Come of (জন্মগ্রহণ করা)

সংগ্রহে: ওয়াদুদ খান
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ 
সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর 

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
(link-টি সেইভ করে রাখুন। ধন্যবাদ)
Share:

The difference between 'then' and 'than'....

Then = তখন/ তারপর/ অতঃপর/ তৎকালীন 
যেমন:-
1. We will meet him first, then have a meal. = আমরা প্রথমে তার সাথে দেখা করব, তারপর খাব।
2. I was walking alone. Then I saw a snake. = আমি একাই হাঁটছিলাম। তখন একটি সাপ দেখলাম।
3. Bangladesh fought for freedom against Pakistan. The then Pakistani government was inhuman, merciless. = বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল। তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার ছিল অমানবিক, নির্দয়।



Than = চেয়ে/ চাইতে/ থেকে/ অপেক্ষা/ তুলনায়
যেমন:-
1. Jamal is taller than Kamal. = জামাল কামালের চেয়ে লম্বা।
2. It was no other than my old friend Mithu. = এটা আমার পুরনো বন্ধু মিঠু ছাড়া কেউ নয়।
3. What he has done is nothing else than foolishness. = সে যা করেছে সেটা বোকামি ছাড়া কিছু নয়।
4. No sooner had the teacher entered the class than the students stood up. = শিক্ষক ক্লাসে ঢুকতে না ঢুকতেই ছাত্রছাত্রীরা উঠে দাঁড়ালো।

"Then" "Than"-এর পার্থক্যের দিকে খেয়াল রাখুন...

ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
২১ অক্টোবর, ২০১৭
Share:

The Season I Like Most (An Essay for the Students)

There are six seasons in Bangladesh. I like all the seasons but I like rainy season most. The rainy season is the second season of them. The Bengali months –“Ashar” and “Shraban” are called the rainy season.

Rainy season is my favorite season .
The Rainy season comes to us with many pleasant things and beautiful scenes and sounds. So I like this season for many reasons.

Scenes of The Rainy Season

It is a blessing for our country. The whole Bangladesh floats in joy at the advent of this season.

The rainy season is caused by monsoon. The south west monsoon that blows from the Bay of Bengal over Bangladesh brings much vapour. It causes heavy rainfall. As a result, the rainy season begins in Bangladesh.

People welcome the rainy season heartily. The season brings heavy rainfall. The sky becomes cloudy. Sometimes we do not see the sun for days together. Sometimes it rains cats and dogs.

Rivers, canals and ponds are filled with water. They overflow their banks. Fields go under water.

The season cools and refreshes all. It also purifies the atmosphere. A journey by boat is very interesting in this season. The roads become muddy and slippery. The rain washes our dirt. It makes our country ever green. It is also a season of fruits. Mango, black-berry, jack fruit lichies have buds on them.

Bangladesh is an agricultural country. Most of the crops depends on the rain water. Current of rain water makes our soil fertile. Men can easily go from one place to another by boat.

In the rainy season the roads become muddy and slippery. The poor and the day labourer suffer much. They cannot go out of doors for work. Cattle have to suffer much. Various diseases like cholera, typhoid, and dysentery break out. Sometimes there are floods and it washes away our crops and houses.

The rainy season is very useful to us. Bangladesh is mainly an agricultural country. Our agriculture depends on this season. Green leaves grow in trees. The cultivation of our country makes the paddy fields ready. Jute plants grow rapidly.
Our imagination becomes active by the rhythm and music of rain. Poets charmed by the beauty of the season have composed many poems.

It is a blessing to the economy of our country and the prosperity of our people. It helps the nature to gain a new life. The rainy season is the most important and useful season in our country.  It is the best of all the season in Bangladesh. We always welcome this season and enjoy its beauty.

Wadud Khan
Lecturer, English
Sadarpur Govt College, Faridpur 
01785-562080
Share:

DRUG ADDICTION (nothing but a curse)

When a person finds pleasure in taking drugs, we call it drug addiction. An addicted person finds pleasure only for a very short time but it badly affects his body and mind. Gradually s/he feels drowsy, lose appetite and become weak. Drugs also damage the brain and all internal function of the body. Obviously, drug addiction is now a global problem. This social cancer has spread its poisonous claws all over the world. Frustration is one of the causes of drug addiction. Unemployment problem, political cataclysm, lack of family ties, lack of love, affection etc give rise to frustration. Again drug addiction gives rise to social crimes. When the addicted cannot afford to buy drugs, they commit many kinds of social crimes like hijacking, looting, plundering, kidnapping, killing, robbery etc. However, this curse should not be allowed to go unchecked. We must get rid of this social cancer at any cost. 

Important Word Meaning: 

drug (n) - মাদক 
addicted (adj) - আসক্ত
drowsy (adj) - তন্দ্রাচ্ছন্ন  
lose appetite - ক্ষুধামন্দা 
frustration (n) - হতাশা 
addiction (n) - আসক্তি 
political cataclysm - রাজনৈতিক সহিংসতা 
lack of family ties - পারিবারিক বন্ধনের অভাব 
hijacking (n) - ছিনতাই 
plundering (n) - লুণ্ঠন 
killing (n) - খুন 
kidnapping (n) - অপহরণ  
robbery (n) - ডাকাতি 


Addiction

অনুবাদ:

যখন একজন ব্যক্তি মাদক গ্রহণ করার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পায়,তখন এটাকে মাদকাসক্তি বলা হয়। একজন আসক্ত ব্যক্তি মাত্র অল্প কিছু সময়ের জন্য আনন্দ অনুভব করে, কিন্তু এটা তার শরীর ও মনকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধীরে ধীরে সে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, ক্ষুধামন্দা বোধ করে এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। মাদক মস্তিষ্ক ও শরীরের অভ্যন্ত্রীণ কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। স্পষ্টতই মাদকাসক্তি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই সামাজিক ক্যান্সার সারা বিশ্বে তার বিষাক্ত নখর বসিয়েছে। আসক্তির অন্যতম কারণ হতাশা। বেকার সমস্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, পারিবারিক বন্ধনের অভাব, ভালোবাসা ও স্নেহের অভাব ইত্যাদি হতাশা তৈরি করে। আবার মাদকাসক্তি সামাজিক অপরাধ বাড়িয়ে দেয়। যখন আসক্ত ব্যক্তি মাদক কিনতে না পারে, তখন তারা বিভিন্ন ধরণের সামাজিক অপরাধ ঘটায়; যেমন- ছিনতাই, লুটপাট, খুন, অপহরণ, ডাকাতি ইত্যাদি। যাহোক, এই অভিশাপ অবাধে চলতে দেওয়া যায় না। যেভাবেই হোক এই সামাজিক ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।


Wadud Khan 
Lecturer, English 
Sadarpur Govt College, Faridpur  
08 September, 017
Share:

যে কারণে রোহিঙ্গারা 'মানুষ' নয়!

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর 'মানুষ জাতি' কবিতার শুরুতে বলেছেন,

জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।

এই একই কবিতার আরেক জায়গায় তিঁনি বলেছেন,

দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা,
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।

এই সভ্য দুনিয়ায়, যদিও অসভ্যতারই সয়লাভ চারপাশে, মানুষের সবচেয়ে বড়ো পরিচয় সে মানুষ। পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে একজন মানুষও যদি তাঁর মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তবে সকল দেশের সকল মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়াবে। এটাই প্রত্যাশিত। আমেরিকার টুইন টাওয়ারে  যখন হামলা হয়, তখন সারা পৃথিবীতে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। কারণ, তাঁরা মানুষ ছিল।

নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গা

ফ্রান্স যখন আক্রান্ত হয়, তখনো বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। কারণ, তাঁরা মানুষ। বাংলাদেশের রামুতে যখন বৌদ্ধ মন্দিরে আক্রমণ হয়, তখনো জেগে উঠেছিল দেশ বিদেশের সকল সুশীল। কারণ, বৌদ্ধরাও তো মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যখন হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়, তখনো ফুঁসে উঠেছিল সকল সুশীল। কারণ, হিন্দুরাও তো মানুষ। সাঁওতাল, গারো, চাকমা, মনিপুরী- সবাই মানুষ। সবার রক্তই লাল। তাই যখন কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়, সে সহানুভূতি পায়। মানুষের পাশে দাঁড়ায় অন্যসব মানুষ।

কবিরা কবিতায় মানুষের কথা বলে। শিল্পী তাঁর গানে মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়-

মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না?
ও বন্ধু ...
-----------------------------
-----------------------------
মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ
লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু ...

কিন্তু রোহিঙ্গারা? 
তাঁরা কি মানুষ? 
তাঁদের শরীরের রক্ত কি লাল?

মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলবিজয়ী বর্তমান শাসক অং সান সু-চি (অবশ্য বিজ্ঞজনরা তাঁর নতুন নামকরণ করেছেন খুন চান সু-চি ) রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিশ্ব কি এর আগে কখনো দেখেছে? একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে বৌদ্ধভিক্ষুদের সাথে নিয়ে বার্মিজ আর্মিরা রোহিঙ্গাদের ধাওয়া করেছে বছরের পর বছর। নারীদের করছে ধর্ষণ, পুরুষদের করছে কতল। এমনকি শিশুদেরও নির্বিচারে হত্যা করছে বার্মিজ হায়েনারা।

মুসলিম হওয়াই রোহিঙ্গাদের আজন্ম পাপ

যাঁরা জীবন বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল, তাঁদের অনেকেরই সলীল সমাধি হয়েছে। এই যে এত নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ চলছে তবুও বিশ্ব বিবেক জাগছে না। বরং পত্রিকার পাতা উল্টালে দেখতে পাই, ভারতের নরেন্দ্র মোদী, চীনের হু জিনতাও, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইংল্যান্ডের তেরেসা মে- সব  রথী মহারথী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু নিধন সমর্থন দিচ্ছে।

তাহলে বুঝা গেল রোহিঙ্গারা মানুষ নয়।
ওরা পোকামাকড়।
ওদের মারতে কোনো অসুবিধে নেই।
ওদের হত্যা করাটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়।

কিন্তু, রোহিঙ্গারা মানুষ নয় কেন?
কেন?
কেন?
কারণ, ওরা মুসলিম।

আর ঠিক একই কারণে ফিলিস্তিনে, ইরাকে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, আফগানিস্তানে, বসনিয়ায়, চেচনিয়ায় যখন মুসলিমরা নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে- তখনো বিশ্বব্যাপী কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না। খবরের পাতার ভেতরের দিকে ছোট্ট করে এর শিরোনাম হয়।

ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Share:

নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম


রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কাছাকাছি তাঁদের ভাষা। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং, মংডু, কিয়কতাও, মামব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন ও পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন ও আন এলাকায় মিশ্রভাবে তাঁরা বসবাস করে থাকে। ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫ লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয়। বিভিন্ন সময় তাঁরা মায়ানমার সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।

রোহিঙ্গারা মূলত একটি স্বতন্ত্র মুসলিম জনগোষ্ঠী। তারা মুসলিম ব্যবসায়ী হিসেবে প্রায় এক হাজার বছর আগে মায়ানমারে বসবাস শুরু করে।

অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।

তাহলে, এটা স্পষ্ট যে, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে হাওয়া থেকে কিংবা পানিতে ভেসে আসেনি। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁরা মায়ানমারে বসবাসরত। একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে তাঁদের সকল মানবাধিকার বঞ্চিত করে জোরপূর্বক জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। বিশ্ববিবেক এখানে নিরব, নিস্তব্দ। 

নিরীহ, নিরস্ত্র রোহিঙ্গা জনতা
 

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ" এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন। তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে- ২০০৫ সালে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন ধরণের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে এই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। অানান কমিশন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গণতন্ত্রেরর মানসকন্যা অং সান সুচি ২৪ অাগস্ট ২০১৬ গঠন করেন রোহিঙ্গা বিষয়ক 'রাখাইন উপদেষ্টা কমিশন' নামের ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি অান্তর্জাতিক কমিশন।

রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা ব্যপকভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের অধিকাংশের মায়ানমারের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাদের উপর বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অবৈধ কর (ট্যাক্স) চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমি জবর-দখল করা, জোর-পূর্বক উচ্ছেদ করা, ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা এবং বিবাহের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও উত্তর রাখাইন রাজ্যে গত দশকে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করা কমেছে তারপরও রোহিঙ্গাদের রাস্তার কাজে ও সেনা ক্যাম্পে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে।

মায়ানমারের সামরিক জান্তা থেকে শুরু করে বর্তমানের তথাকথিত নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি পর্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এমন সন্ত্রাস বিশ্ব এর আগে কখনো দেখেনি। নিরীহ নারী ও শিশু সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার। মৃত্যু ওখানে সহজ ও নিয়মিত। বেঁচে থাকা বড্ড কঠিন ও বিস্ময়কর। 'পান থেকে চুন' খসলেই রোহিঙ্গাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের সাইক্লোন। বাড়িঘর ভেঙে করা হয় চুরমার। গ্রামের পর গ্রাম করে ফেলা হয় জনশূন্য।

১৯৭৮ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর 'নাগামান' ('ড্রাগন রাজা') অভিযানের ফলে প্রায় দুই লক্ষ (২০০,০০০) রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সরকারিভাবে এই অভিযান ছিল প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে সব বিদেশী অবৈধভাবে মায়ানমারে বসবাস করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই সেনা অভিযান সরাসরি বেসামরিক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলছিল এবং ফলে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ ও মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটে।

১৯৯১-৯২ সালে একটি নতুন দাঙ্গায় প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। তারা জানায় রোহিঙ্গাদের বার্মায় বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান করতে হয়। এছাড়া হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। রোহিঙ্গাদের কোনো প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতে হতো।

আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানপাপী, তথাকথিত মানবতাবাদী রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যস্ত। যেহেতু রোহিঙ্গারা মুসলিম (মুসলিম মানেই নাস্তিকদের দৃষ্টিতে জিহাদি, জঙ্গী, সন্ত্রাসী), সেহেতু ওঁদের রক্তপানে বৌদ্ধদের বাধা নেই। একটি গোষ্ঠীর কিছু লোক বিপথগামী হলেও, সেই গোষ্ঠীর সকলকে কচু কাটা করার অধিকার কি কারও বা কোনো গোষ্ঠীর আছে?

বাংলাদেশ সরকারের উচিত জাতিসংঘের মাধ্যমে (অন্যান্য শক্তিশালী দেশসমূহের সহায়তায়, বিশেষকরে ইসলামি দেশগুলো)  মায়ানমারের উপর অব্যাহত চাপ তৈরি করা। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে , বাংলাদেশকে আঙুল বাঁকা করতে হবে (মায়নমারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে হবে)। 

বাংলাদেশ এমনিতেই নিজস্ব জনসংখ্যার ভারে ভারাক্রান্ত। সেখানে কয়েক দশক ধরে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, যা বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। রোহিঙ্গারা জলে ভেসে আসা কচুরিপানা নয়, তাঁরা মায়ানমারের জন্মসূত্রে নাগরিক (যদিও মায়ানমার সরকার তাঁদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না)। এখনই সময়- মায়নমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের মূল স্রোতে মিশতে দিতে হবে। তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ দিতে হবে। শান্তিতে নোবেলপ্রাপ্ত সুচিকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধ্য করতে হবে।   

লেখা ও গবেষণা - ওয়াদুদ খান
কবি ও কথাশিল্পী 
৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

তথ্যসূত্র
উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন জার্নাল


Share:

Popular Posts

Recent Posts