• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

DRUG ADDICTION (nothing but a curse)

When a person finds pleasure in taking drugs, we call it drug addiction. An addicted person finds pleasure only for a very short time but it badly affects his body and mind. Gradually s/he feels drowsy, lose appetite and become weak. Drugs also damage the brain and all internal function of the body. Obviously, drug addiction is now a global problem. This social cancer has spread its poisonous claws all over the world. Frustration is one of the causes of drug addiction. Unemployment problem, political cataclysm, lack of family ties, lack of love, affection etc give rise to frustration. Again drug addiction gives rise to social crimes. When the addicted cannot afford to buy drugs, they commit many kinds of social crimes like hijacking, looting, plundering, kidnapping, killing, robbery etc. However, this curse should not be allowed to go unchecked. We must get rid of this social cancer at any cost. 

Important Word Meaning: 

drug (n) - মাদক 
addicted (adj) - আসক্ত
drowsy (adj) - তন্দ্রাচ্ছন্ন  
lose appetite - ক্ষুধামন্দা 
frustration (n) - হতাশা 
addiction (n) - আসক্তি 
political cataclysm - রাজনৈতিক সহিংসতা 
lack of family ties - পারিবারিক বন্ধনের অভাব 
hijacking (n) - ছিনতাই 
plundering (n) - লুণ্ঠন 
killing (n) - খুন 
kidnapping (n) - অপহরণ  
robbery (n) - ডাকাতি 


Addiction

অনুবাদ:

যখন একজন ব্যক্তি মাদক গ্রহণ করার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পায়,তখন এটাকে মাদকাসক্তি বলা হয়। একজন আসক্ত ব্যক্তি মাত্র অল্প কিছু সময়ের জন্য আনন্দ অনুভব করে, কিন্তু এটা তার শরীর ও মনকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধীরে ধীরে সে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, ক্ষুধামন্দা বোধ করে এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। মাদক মস্তিষ্ক ও শরীরের অভ্যন্ত্রীণ কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। স্পষ্টতই মাদকাসক্তি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই সামাজিক ক্যান্সার সারা বিশ্বে তার বিষাক্ত নখর বসিয়েছে। আসক্তির অন্যতম কারণ হতাশা। বেকার সমস্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, পারিবারিক বন্ধনের অভাব, ভালোবাসা ও স্নেহের অভাব ইত্যাদি হতাশা তৈরি করে। আবার মাদকাসক্তি সামাজিক অপরাধ বাড়িয়ে দেয়। যখন আসক্ত ব্যক্তি মাদক কিনতে না পারে, তখন তারা বিভিন্ন ধরণের সামাজিক অপরাধ ঘটায়; যেমন- ছিনতাই, লুটপাট, খুন, অপহরণ, ডাকাতি ইত্যাদি। যাহোক, এই অভিশাপ অবাধে চলতে দেওয়া যায় না। যেভাবেই হোক এই সামাজিক ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।


Wadud Khan 
Lecturer, English 
Sadarpur Govt College, Faridpur  
08 September, 017
Share:

যে কারণে রোহিঙ্গারা 'মানুষ' নয়!

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর 'মানুষ জাতি' কবিতার শুরুতে বলেছেন,

জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।

এই একই কবিতার আরেক জায়গায় তিঁনি বলেছেন,

দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা,
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।

এই সভ্য দুনিয়ায়, যদিও অসভ্যতারই সয়লাভ চারপাশে, মানুষের সবচেয়ে বড়ো পরিচয় সে মানুষ। পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে একজন মানুষও যদি তাঁর মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তবে সকল দেশের সকল মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়াবে। এটাই প্রত্যাশিত। আমেরিকার টুইন টাওয়ারে  যখন হামলা হয়, তখন সারা পৃথিবীতে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে। কারণ, তাঁরা মানুষ ছিল।

নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গা

ফ্রান্স যখন আক্রান্ত হয়, তখনো বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। কারণ, তাঁরা মানুষ। বাংলাদেশের রামুতে যখন বৌদ্ধ মন্দিরে আক্রমণ হয়, তখনো জেগে উঠেছিল দেশ বিদেশের সকল সুশীল। কারণ, বৌদ্ধরাও তো মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যখন হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়, তখনো ফুঁসে উঠেছিল সকল সুশীল। কারণ, হিন্দুরাও তো মানুষ। সাঁওতাল, গারো, চাকমা, মনিপুরী- সবাই মানুষ। সবার রক্তই লাল। তাই যখন কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়, সে সহানুভূতি পায়। মানুষের পাশে দাঁড়ায় অন্যসব মানুষ।

কবিরা কবিতায় মানুষের কথা বলে। শিল্পী তাঁর গানে মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়-

মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না?
ও বন্ধু ...
-----------------------------
-----------------------------
মানুষ যদি সে না হয় মানুষ
দানব কখনো হয় না মানুষ
যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ
লজ্জা কি তুমি পাবে না?
ও বন্ধু ...

কিন্তু রোহিঙ্গারা? 
তাঁরা কি মানুষ? 
তাঁদের শরীরের রক্ত কি লাল?

মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলবিজয়ী বর্তমান শাসক অং সান সু-চি (অবশ্য বিজ্ঞজনরা তাঁর নতুন নামকরণ করেছেন খুন চান সু-চি ) রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিশ্ব কি এর আগে কখনো দেখেছে? একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে বৌদ্ধভিক্ষুদের সাথে নিয়ে বার্মিজ আর্মিরা রোহিঙ্গাদের ধাওয়া করেছে বছরের পর বছর। নারীদের করছে ধর্ষণ, পুরুষদের করছে কতল। এমনকি শিশুদেরও নির্বিচারে হত্যা করছে বার্মিজ হায়েনারা।

মুসলিম হওয়াই রোহিঙ্গাদের আজন্ম পাপ

যাঁরা জীবন বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল, তাঁদের অনেকেরই সলীল সমাধি হয়েছে। এই যে এত নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ চলছে তবুও বিশ্ব বিবেক জাগছে না। বরং পত্রিকার পাতা উল্টালে দেখতে পাই, ভারতের নরেন্দ্র মোদী, চীনের হু জিনতাও, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইংল্যান্ডের তেরেসা মে- সব  রথী মহারথী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু নিধন সমর্থন দিচ্ছে।

তাহলে বুঝা গেল রোহিঙ্গারা মানুষ নয়।
ওরা পোকামাকড়।
ওদের মারতে কোনো অসুবিধে নেই।
ওদের হত্যা করাটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়।

কিন্তু, রোহিঙ্গারা মানুষ নয় কেন?
কেন?
কেন?
কারণ, ওরা মুসলিম।

আর ঠিক একই কারণে ফিলিস্তিনে, ইরাকে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, আফগানিস্তানে, বসনিয়ায়, চেচনিয়ায় যখন মুসলিমরা নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে- তখনো বিশ্বব্যাপী কোনো প্রতিক্রিয়া দেখি না। খবরের পাতার ভেতরের দিকে ছোট্ট করে এর শিরোনাম হয়।

ওয়াদুদ খান
সদরপুর, ফরিদপুর
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Share:

নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম


রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কাছাকাছি তাঁদের ভাষা। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং, মংডু, কিয়কতাও, মামব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন ও পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন ও আন এলাকায় মিশ্রভাবে তাঁরা বসবাস করে থাকে। ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫ লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয়। বিভিন্ন সময় তাঁরা মায়ানমার সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।

রোহিঙ্গারা মূলত একটি স্বতন্ত্র মুসলিম জনগোষ্ঠী। তারা মুসলিম ব্যবসায়ী হিসেবে প্রায় এক হাজার বছর আগে মায়ানমারে বসবাস শুরু করে।

অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।

তাহলে, এটা স্পষ্ট যে, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে হাওয়া থেকে কিংবা পানিতে ভেসে আসেনি। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁরা মায়ানমারে বসবাসরত। একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে তাঁদের সকল মানবাধিকার বঞ্চিত করে জোরপূর্বক জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। বিশ্ববিবেক এখানে নিরব, নিস্তব্দ। 

নিরীহ, নিরস্ত্র রোহিঙ্গা জনতা
 

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ" এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন। তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে- ২০০৫ সালে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন ধরণের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে এই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। অানান কমিশন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গণতন্ত্রেরর মানসকন্যা অং সান সুচি ২৪ অাগস্ট ২০১৬ গঠন করেন রোহিঙ্গা বিষয়ক 'রাখাইন উপদেষ্টা কমিশন' নামের ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি অান্তর্জাতিক কমিশন।

রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা ব্যপকভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের অধিকাংশের মায়ানমারের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাদের উপর বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অবৈধ কর (ট্যাক্স) চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমি জবর-দখল করা, জোর-পূর্বক উচ্ছেদ করা, ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা এবং বিবাহের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও উত্তর রাখাইন রাজ্যে গত দশকে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করা কমেছে তারপরও রোহিঙ্গাদের রাস্তার কাজে ও সেনা ক্যাম্পে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে।

মায়ানমারের সামরিক জান্তা থেকে শুরু করে বর্তমানের তথাকথিত নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি পর্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এমন সন্ত্রাস বিশ্ব এর আগে কখনো দেখেনি। নিরীহ নারী ও শিশু সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার। মৃত্যু ওখানে সহজ ও নিয়মিত। বেঁচে থাকা বড্ড কঠিন ও বিস্ময়কর। 'পান থেকে চুন' খসলেই রোহিঙ্গাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের সাইক্লোন। বাড়িঘর ভেঙে করা হয় চুরমার। গ্রামের পর গ্রাম করে ফেলা হয় জনশূন্য।

১৯৭৮ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর 'নাগামান' ('ড্রাগন রাজা') অভিযানের ফলে প্রায় দুই লক্ষ (২০০,০০০) রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সরকারিভাবে এই অভিযান ছিল প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে সব বিদেশী অবৈধভাবে মায়ানমারে বসবাস করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই সেনা অভিযান সরাসরি বেসামরিক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলছিল এবং ফলে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ ও মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটে।

১৯৯১-৯২ সালে একটি নতুন দাঙ্গায় প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। তারা জানায় রোহিঙ্গাদের বার্মায় বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান করতে হয়। এছাড়া হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। রোহিঙ্গাদের কোনো প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতে হতো।

আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানপাপী, তথাকথিত মানবতাবাদী রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যস্ত। যেহেতু রোহিঙ্গারা মুসলিম (মুসলিম মানেই নাস্তিকদের দৃষ্টিতে জিহাদি, জঙ্গী, সন্ত্রাসী), সেহেতু ওঁদের রক্তপানে বৌদ্ধদের বাধা নেই। একটি গোষ্ঠীর কিছু লোক বিপথগামী হলেও, সেই গোষ্ঠীর সকলকে কচু কাটা করার অধিকার কি কারও বা কোনো গোষ্ঠীর আছে?

বাংলাদেশ সরকারের উচিত জাতিসংঘের মাধ্যমে (অন্যান্য শক্তিশালী দেশসমূহের সহায়তায়, বিশেষকরে ইসলামি দেশগুলো)  মায়ানমারের উপর অব্যাহত চাপ তৈরি করা। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে , বাংলাদেশকে আঙুল বাঁকা করতে হবে (মায়নমারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে হবে)। 

বাংলাদেশ এমনিতেই নিজস্ব জনসংখ্যার ভারে ভারাক্রান্ত। সেখানে কয়েক দশক ধরে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, যা বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। রোহিঙ্গারা জলে ভেসে আসা কচুরিপানা নয়, তাঁরা মায়ানমারের জন্মসূত্রে নাগরিক (যদিও মায়ানমার সরকার তাঁদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না)। এখনই সময়- মায়নমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের মূল স্রোতে মিশতে দিতে হবে। তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ দিতে হবে। শান্তিতে নোবেলপ্রাপ্ত সুচিকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধ্য করতে হবে।   

লেখা ও গবেষণা - ওয়াদুদ খান
কবি ও কথাশিল্পী 
৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

তথ্যসূত্র
উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন জার্নাল


Share:

ধর্ষণ (ধর্ষকের জামিন আছে, দর্শকের নেই)

ভুল করে চোখ যদি পড়ে যায় খবরে
মন বলে যাই চলে আন্ধার কবরে।
এ-কি হাল হয়ে গেল আমাদের দেশটার?
মেয়েদের লুটে খায় ড্রাইভার, হেল্পার।
ক্ষমতায় নারী তবুও নারীরাই অসহায়
ধর্ষণ বাড়ছেই যত দিন-রাত যায়।
ফেসবুকে হাহাকার তাতে ওরা দমে না
শাহবাগে জমলেও ওরা তবুও থামে না।


ধর্ষিতা 

দেশ এখন দুইভাগ, একভাগে ধর্ষক।
বাকি যারা নিরীহ, তারা সবে দর্শক।
শিশু কি-বা বুড়ো হোক নারী যদি জুটে যায়
বাসে কি-বা মাইক্রোতে ওরা মজা লুটে খায়।
ধর্ষক হাওয়া খায় জেলে কি-বা জামিনে
জনতারে মারে প্যাচ এদেশের আইনে।

এই দ্যাশ, আজ শ্যাষ 

কোথা গেলে আলো পাই? 
মন্দের গন্ধে ভরে গেছে চারপাশ, 
কোথা গেলে ভালো পাই? 


ওয়াদুদ খান

সদরপুর, ফরিদপুর

Share:

No More Absorption in Edu Cadre

Nationalization of the non-government primary or secondary or higher secondary institutions is a continuous development project of the present Awami League led government. It deserves appreciation from all walks of life. We, the officers of general education cadre, are not against this ongoing process.

Rather, we welcome the government for taking necessary steps to nationalize some institutions. More than three hundreds non-government colleges would be nationalized within the shortest possible time.


Source: News BD (02/07/2017)
                                            
It is ok. There is absolutely nothing wrong. We would feel happier if all the educational institutions were nationalized.

But we who belong to BCS education cadre have only one objection. Government should not allow any more absorption in education cadre.

Nationalization of the teachers and absorption of them in cadre service are two different issues. A BCS cadre officer had to go a long way and suffer a lot for facing the Public Service Comission (PSC). S/he had to pass many sleepless nights to overcome preliminary test, written exams, viva-voce and finally medical test and police investigation. In some cases, s/he had to sit for the BCS exam several times. After winning the stiff battle, s/he becomes a cadre officer.

On the contrary, a non-government college teacher is appointed just by passing facing a test taken by Non-government Teachers Rregistration and Certification Authority (NTRCA). It is known to all that some teachers donate more than one million taka for their recruitments. Local political leaders and the managing committee also try to influence their recruitment process.

Why and how can a cadre officer and a nationalized teacher be given equal opportunity whereas they are appointed through two different ways?

Last but not the least, nobody should any longer be allowed to become a cadre officer without sitting for BCS exam.

Written by
Lecturer, English
Sadarpur Govt College, Faridpur
Share:

Popular Posts

Recent Posts